ভারতের সাবেক ক্রিকেটার, বাড়ি গুজরাটে; কিন্তু মুর্শিদাবাদে এসে রাজনীতির মাঠে নামেন ইউসুফ পাঠান। মমতা ব্যাণার্জীর তৃণমূলে হয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন মুর্শিদাবাদে।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জয় পেতে বামদের সঙ্গে জোট বেঁধে ময়দানে নেমেছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু ইউসুফের বিপক্ষে হেরে টানা ২৫ বছর পর বহরমপুর ‘হাতছাড়া’ হয়ে গেছে তার। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে ইউসুফ পাঠানের জয়ের ব্যবধান ৮০ হাজারের বেশি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৮১ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় পেয়েছিলেন অধীর। এর আগে ১৯৯১ সালে নবগ্রাম বিধানসভায় প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অধীর। সে বার হেরে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে নবগ্রাম থেকে জয় পেয়ে বিধায়ক হন তিনি। তাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’ বলো হতো।
কিন্তু রাজনীতিতে আনকোরা ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে যাবেন, সেটা ভাবা যাচ্ছিল না। তবে, তাকে কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে সেটা বোঝা যাচ্ছিল ১০ মার্চ থেকে। সেদিন ব্রিগেড সমাবেশ থেকে বহরমপুরে প্রার্থী হিসাবে সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অধীর। বলেছিলেন, বহরমপুরে তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতেই পাঠান ‘চাল’ দেন অভিষেক। সেটিই জয়ের পাল্লা ভারী করেছে তৃণমূলের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
এমজে