ইউক্রেনে শান্তির পথ নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার সুইজারল্যান্ডে সম্মেলনে করার কথা ৯০টি দেশের নেতাদের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি শনিবারের সম্মেলনে যোগ দেবেন।
শীর্ষ এই সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আর এমন সময়েই যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনকে শর্ত দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেন সরকারকে রাশিয়ার আংশিক দখল করা চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান পুতিন।
শুক্রবার (১৪ জুন) মস্কোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে শর্ত দেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার অভিযান থামাতে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনের। ইউক্রেনের সরকার যদি শর্ত মেনে নেয় তবে যে মুহূর্তে তারা সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যাবে। ’
ভ্লাদিমির পুতিনের বেঁধে দেওয়া শর্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইতালি সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও। ইতালির একটি টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ‘এগুলো আল্টিমেটামের বার্তা। হিটলারও একই কাজ করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন—আমাকে চেকোস্লোভাকিয়ার একটি অংশ দিন, তবে ঝামেলা এখানেই শেষ হবে। ’
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনও রাশিয়ার এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন অবৈধভাবে সার্বভৌম ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করেছেন। শান্তির জন্য ইউক্রেনকে কী করতে হবে, তা নির্দেশ করার কোনো অবস্থানে পুতিন নেই। ’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসএএইচ