ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত বুটলেগ অ্যালকোহল পানে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কল্লাকুরুচি জেলায় গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) একাধিক মানুষ বুটলেগ অ্যালকোহল কিনে পান করেছিলেন। যাদের অধিকাংশই শ্রমিক শ্রেণির। একাধিক মানুষের বমি, ডায়রিয়া, পায়খানা, পেটে ব্যথা, চোখ জ্বালা করাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে কমপক্ষে ৮০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তও চলছে ব্যাপক হারে। অবহেলার দায়ে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগকারী শাখার দশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ব্যাকস্ট্রিট ডিস্টিলারি থেকে বুটলেগ অ্যালকোহল পান করে ভারতে প্রতি বছর বহু লোক মারা যায়। বুটলেগাররা প্রায়ই মদে মিথানল যোগ করে এর শক্তি বাড়ানোর জন্য। যা একটি অত্যন্ত বিষাক্ত অ্যালকোহলে পরিণত হয়। এমনকি এটি অল্প পরিমাণে পান করলেও মিথানলের কারণে অন্ধত্ব, লিভারের ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যারা এই মদ পান করেছিলেন, তাদের মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এবং চোখের জ্বালার মতো উপসর্গগুলো প্রকাশ পেয়েছিল।
দ্য নিউজ মিনিটের ওয়েবসাইট অনুসারে, কল্লাকুরুচিতে অভিযুক্তরা স্থানীয় বিক্রেতার মাধ্যমে প্যাকেটে এই মদ বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ১ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এটি প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিরোধী দলগুলো রাজ্যে বিষাক্ত অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য প্রধান কে আন্নামালাই মদ বিক্রির তদারকির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন।