তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে মামলা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হুমকি দিয়েছে চীন।
শুক্রবার (২১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সান পিং আদালতের এ নির্দেশিকা তুলে ধরেন।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ এ রাষ্ট্রে চীনা আদালতের এমন আদেশ দেওয়ার কোনো এখতিয়ার না থাকা সত্ত্বেও এ হুমকি দেওয়া হয়। এতে তাইওয়ানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে মনে করে চীন। গত মাসে লাই চিং-তের তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চীন যুদ্ধের মহড়া শুরু করে।
চীন তাকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে অভিহিত করে শপথ নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের বিভিন্ন মহড়া শুরু করে। বিশেষ করে বেইজিং চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপের চারপাশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং উপকূলরক্ষীর টহল বাড়ায়।
বেইজিংয়ের দৃষ্টিতে তাইওয়ান চীনের একটি অংশ এবং গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ এ রাষ্ট্রটির একমাত্র বিকল্প পথ হলো একীকরণ। তবে তাইওয়ানের জনমত জরিপ দেখায় অধিকাংশই একীকরণকে সমর্থন করে না। বেশিরভাগ তাইওয়ানি স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সমর্থন করেন।
চীনের সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানায়, এ নির্দেশিকা তাদের লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। যারা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন’ গঠন করে বা দেশকে বিভক্ত করে এমন কর্মকাণ্ড চালাতে পারে তাদের লক্ষ্য করে।
শুক্রবার সিনহুয়া আরও জানায়, চীনের আদালত ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দেশকে বিভক্ত করার জন্য এবং বিচ্ছিন্নতাকে উসকে দেওয়ার জন্য তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের কঠোর শাস্তি দেবে। এতে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে রাষ্ট্র এবং জনগণের গুরুতর ক্ষতি করবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
চীনের এ হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল জনসাধারণকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকিকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, তাইওয়ানের ওপর বেইজিং কর্তৃপক্ষের একেবারেই কোনো এখতিয়ার নেই এবং চীনা কমিউনিস্টদের তথাকথিত আইন ও নিয়মের আমাদের জনগণের ওপর চাপানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
জেএইচ