ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কাতার যাবেন মোসাদ প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কাতার যাবেন মোসাদ প্রধান

গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগামী সপ্তাহে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কাতারে যাবে।

শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় অনুসারে, দলটি আগামী সপ্তাহে দোহায় মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির মধ্যে বৈঠকের পর আলোচনার মাধ্যম বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।  

শনিবার (৬ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব এখনো রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ দূরত্বের ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘কেএএন’ রাজনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, বার্নিয়া মধ্যস্থতাকারীদের বলেছেন তিনি আশাবাদী ফিলিস্তিন বন্দি বিনিময় চুক্তি মেনে নেবে।

বার্নিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে একটি সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ইসরায়েলে ফিরে আসবেন।

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা ফিলিস্তিনি-বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছেন। হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছালে সরকার পতনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় অবশিষ্ট ১২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা চলছে।

 ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই হামলার পর থেকে ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রায় নয় মাসের অব্যাহত হামলায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধ সংকটের পাশাপাশি গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, জো বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।

ইসরায়েল বিশ্বাস করে, গাজায় বহু জিম্মি এখনো জীবিত রয়েছে ও যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক ক্ষতি ক্রমেই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।