চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে সোমবার মিলওয়াকিতে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের সপ্তাহেই তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প শনিবার পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। অঙ্গরাজ্যটি আসন্ন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ। প্রচারণায় মঞ্চে থাকাকালে তার ওপর এআর-১৫ রাইফেলে গুলি চালান ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। গুলিটি তার ডান কান ছুঁয়ে যায়। এতে তার কানে ও মুখে রক্ত লেগে যায়। তবে তিনি গুরুতর আহত হননি।
রোববার ওয়াশিংটন এক্সামিনারকে ট্রাম্প বলেন, বাস্তবতা এখন বোঝা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় একজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
রোববার ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুজনই দেশে শান্তি ও ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, আমেরিকায় এ ধরনের, কোনো ধরনের সহিংসতার স্থান নেই। রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এখন এটি শীতল করার সময়। ওভাল অফিস থেকে এক টিভি ভাষণে তিনি এসব বলেন।
ট্রাম্পের ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলছেন, তিনি এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হত্যাচেষ্টাকে গণতন্ত্রের জন্য ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াশিংটন এক্সামিনারকে ট্রাম্প বলেন, এটি পুরো দেশ, এমনকি সমগ্র বিশ্বকে একত্রিত করার সুযোগ। একই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করতে চাই। প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট। তিনি বলেন, আমি জানি না, এটি সম্ভব কি না। লোকজন অতি বিভাজিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
আরএইচ