জাপানের পূর্বাঞ্চল অতিক্রম করতে যাচ্ছে শক্তিশালী টাইফুন অ্যামপিল। এ কারণে সেখানকার হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) শুক্রবার পূর্বাভাসে জানায়, বিকেল ৪টার দিকে চিবা অঞ্চলের চোশি সহরের ১৭০ কিলোমিটার দূরে টাইফুনটি অবস্থান করছিল। সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে এমনটি জানিয়েছে।
অ্যামপিল প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর ঘুরছে। শুক্রবার সন্ধ্যা-রাতের মধ্যে এটি বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। তীব্র বাতাসে ধ্বংস হওয়া জিনিসপত্র উড়ে লোকজনের ওপর পড়ে তারা আহত হতে পারে। এমনকি এ টাইফুন চলমান ট্রাক পর্যন্ত উল্টে দিতে পারে, জানায় জেএমএ।
সংস্থাটি জানায়, বাতাসের গতিবেগ সেকেন্ডে ৪৫ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মিটার পর্যন্ত হচ্ছে। এর প্রভাবে কান্তোর বেশ কয়েকটি পৌরসভার লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
টোকিওর উত্তরে ফুকুশিমা অঞ্চলের আইওয়াকি শহর তিন লাখ ২৩ হাজার বাসিন্দাকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সাড় ১৮ হাজার বাসিন্দাকে টোকিওর পূর্ব দিকে অবস্থিত চিবার মোবারা শহর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টোকিও ইলেকট্রিক কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কান্তো অঞ্চলে আড়াই হাজারের বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই।
ইতোমধ্যে টোকিওর দুটি বিমানবন্দর, হানেদা ও নারিতা, সেই সঙ্গে কানসাই, ওসাকা ও চুবু বিমানবন্দরে বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এয়ার জাপানের স্বত্বাধিকারী এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠান এএনএ হোল্ডিংস বলছে, তারা ২৮১টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও ৫৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ৭০ হাজার যাত্রীকে।
টোকিও ও নাগোয়ার মধ্যে চলা বুলেট ট্রেনের যাত্রা পুরো দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল জাপান রেলওয়ে।
কর্মকর্তারা লোকজনকে নদী ও সাগর সৈকত থেকে দূরে থাকতে বলেছে। পাশাপাশি উড়ন্ত বস্তু থেকেও সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
আরএইচ