ইরানের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলে মুহুর্মুহু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট শব্দে কেঁপেছে তেলআবিব, হাইফা ও জেরুসালেমের মতো প্রধান শহরগুলোও।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতের এই হামলাকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইস অব ইসরাইয়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে দুটি বিমানঘাঁটি এবং একটি গোয়েন্দা দপ্তরও রয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করে, হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ছিটকে পড়া অংশের আঘাতে পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়া তেলআবিবে দুইজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ইরানের সামরিক বাহিনী ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
তখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী-আইডিএফও বলে, ইরান তাদের দেশের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছিল, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে।
আইডিএফ নাগরিকদের এক সতর্কবার্তায় তখন বলে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুরক্ষিত স্থানে (শেল্টার) থাকার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। যে বিস্ফোরণ তারা শুনতে পাচ্ছেন, তা আটকে দেওয়া বা পতিত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আসছে।
পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ হয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলের দিকে নতুন কোনো হুমকি নেই। শেল্টারে বা বাংকারে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা এখন অবস্থানস্থল ছেড়ে যেতে পারেন।
একজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর লেবাননে স্থল আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
এমএম