যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমেরিকানদের এমন সব দেশে যুদ্ধ করতে এবং মরতে পাঠাবেন না, যেসব দেশের নাম তারা কখনো শোনেননি। খবর আরটির।
শনিবার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এমনটি বলেন। নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প আরও একবার দাবি করেন, পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক সংঘাত প্রতিরোধে তিনিই একমাত্র সক্ষম ব্যক্তি।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস। তাকে নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়াবেন, নিশ্চিত। কারণ, তিনি সংঘাত থামানোর জন্য অত্যন্ত অযোগ্য।
ট্রাম্প বলেন, তাকে প্রেসিডেন্ট বানানো মানে লাখ লাখ মানুষের জীবনের ঝুঁকি। আমাদের পুত্র-কন্যাদের এমন কোনো দেশে যুদ্ধে পাঠানো হবে, যার নাম আপনারা কখনো শোনেননি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প তার মনোনয়ন গ্রহণের বক্তৃতায় অঙ্গীকার করেন, বর্তমান প্রশাসন বিশ্বে যেসব সংকট সৃষ্টি করেছে, প্রতিটিই শেষ করা হবে। বিশেষ করে ইউক্রেন ও গাজা সংঘাত।
বিশ্ব শান্তি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা না দিলেও ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নেতৃত্বে অন্যদের যুদ্ধে সমর্থন ও অর্থায়ন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দাবি করেন, যদি কমলা আরও চার বছর সময় পান, মধ্যপ্রাচ্য আরও চার দশক ধরে আগুনে জ্বলবে, আপনাদের (আমেরিকান) সন্তানেরা যুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে।
শনিবারের সমাবেশে তিনি বলেন, কিন্তু আমি আপনাদের কোনো অর্বাচীন, অন্তহীন বিদেশি যুদ্ধে লড়তে ও মরতে পাঠাব না।
ট্রাম্প বারবার অঙ্গীকার করে আসছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, এমনকি শপথ নেওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। হ্যারিস ইউক্রেনের একজন দৃঢ় সমর্থক, ট্রাম্পের অবস্থান সমালোচনা করেছেন।
সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, তিনি গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা প্রতিরোধ করতে পারতেন। পডকাস্টার জো রোগানকে তিনি বলেন, যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে তেহরান তার সহযোগীদের অর্থায়নের জন্য কোনো অর্থ পাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
আরএইচ