ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাতে বেশ বড় পরিসরে হামলা চালায় মস্কো।
ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি বলছে, হামলায় তাদের থার্মাল এনার্জি প্ল্যান্টসে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার হামলায় তিনটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে পশ্চিম ইউক্রেনে তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সময় রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এতে পোল্যান্ড তাদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা সংস্থা বলছে, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় মাইকোলেইভ শহরে দুই নারী নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।
শহরে আবাসিক ভবন, গাড়ি, শপিং সেন্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান মাইকোলেইভ অঞ্চলের গভর্নর ভিটালি কিম।
ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের সমন্বিত হামলা চালানোর সময় রাশিয়া প্রায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০টি ড্রোন ছোড়ে।
তিনি বলেন, মস্কো তার দেশের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন, অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই। মেরামত চলছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার চালানো বৃহৎ হামলার সময় ১৪০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এসবের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনও ছিল।
রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ার পর ইউক্রেনজুড়ে হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
দেশটি এ ধরনের অনেক হামলার সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরুর পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় সমন্বিত হামলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
আরএইচ