প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ ঘটনায় ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটাকমস) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। একদিন আগে ওয়াশিংটন তাদের সরবরাহকৃত এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতি দিয়েছিল ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশাসনকে।
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের অনুমতি পাওয়ার পর রাশিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। রুশ প্রশাসন এ কর্মকাণ্ডের ‘সমুচিত জবাব’ দেবে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রুশ অঞ্চলে এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক বিশেষজ্ঞের হাত আছে কিনা, রাশিয়া আগে সেটি বোঝার চেষ্টা করবে। আমরা এ হামলাটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা যুদ্ধের একটি নতুন সংস্করণ হিসেবে দেখবো এবং সে মোতাবেক নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাবো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার হুমকির মধ্যে ইউক্রেনের এমন হামলা যেকোনো সময় পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলতে পারে। কেননা গতকাল সোমবার মস্কো বলেছিল, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে কোনো ধরনের হামলা হলে উপযুক্ত ও বাস্তব প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এমজে