সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) অভিজাত মাজেহ এলাকায় অবস্থিত দূতাবাসটিতে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।
বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালানোর পর এ ঘটনা ঘটল।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে, হামলার আগেই কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই বড় কোনো বিপদ ঘটেনি।
তারা আরও জানায়, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কে প্রচারিত ছবিতে আপনারা সেটি দেখেছেন। ’
হামলার ঘটনা নিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল–অ্যারাবিয়ায় ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাইকে উদ্ধৃত করে তেহরান টাইমসের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর আগে কূটনীতিকেরা দূতাবাস ত্যাগ করেন। তারা নিরাপদে রয়েছেন।
এএফপির একজন ফটোগ্রাফার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ইরান দূতাবাস ভবনের মেঝেতে ভাঙা কাচ ও আসবাবপত্র পড়ে আছে। ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে কাগজপত্র ও ফাইলসহ নানা জিনিস। একটি কক্ষে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ছবির পোস্টার ভাঙা অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। এমনকি লেবাননের হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নসরুল্লাহর বাঁধানো ছবিও ভাঙা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল।
লোকজন সেখানকার জিনিসপত্র লুট করে ট্রাকে জড়ো করছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে জানা গেছে, ব্যক্তিগত একটি উড়োজাহাজে দামেস্ক ছাড়েন বাশার আল-আসাদ। তিনি ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে তিনি কোথায় পালিয়েছেন, সেই তথ্য এখনও অজানা।
তথ্যসূত্র: এএফপি
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
এসএএইচ