ঢাকা: ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সমর্থকরা।
‘সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি’র ব্যানারে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার পর দিল্লির চাণক্যপুরী থানার তিন মূর্তি চক থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, মিছিলে তিন থেকে চার হাজার লোক দেখা গেছে। সেখানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষের পাশাপাশি নারীও যোগ দিয়েছেন।
তবে তাদের শেষ পর্যন্ত দূতাবাস অবধি যেতে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট না। কারণ রাস্তায় ব্যারিকেড আছে। তাই তারা এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় সবার হাতেই প্ল্যাকার্ড দেখা যাচ্ছে। প্ল্যাকার্ডে- ‘বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও, বাঁচাও সনাতন!’, ‘বাংলাদেশ, একাত্তর মনে করো, জুলুমবাজি বন্ধ করো!’সহ বেশ কিছু স্লোগান দেখা যাচ্ছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এজন্য অবশ্য পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারকে দায়ী করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও সেসবকে অতিরঞ্জিত করে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভারতেরই কিছু ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ভারতের গণমাধ্যম। এর জেরে ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এছাড়া কলকাতায় উপ-হাইকমিশনসহ বিভিন্ন মিশনের সামনে বিক্ষোভে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করে ভারতীয় উগ্রবাদীরা।
ওই ঘটনায় বাংলাদেশ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। যদিও ভারত সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ইস্যুতে ‘সনাতনী ভোট’ বাগানোর জন্য বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে উগ্রবাদী আরএসএসের সমর্থিত ব্যানারে মিছিলটি বের করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
এইচএ