অবশেষে হামাস নেতা ইসমাইল হানিযযাকে হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ হুথি বিদ্রোহীদের হুশিয়ার করে দেওয়া এক বক্তব্যে হিজবুল্লাহ এবং হামাসের নিহত নেতাদের নাম উল্লেখ বলেছেন, আমরা তেহরান, গাজা এবং লেবাননে; হানিয়া, সিনওয়ার এবং নাসরাল্লাহর সাথে যা করেছি, তেমনটিই আমরা হোদেইদা এবং সানায় করব।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি মিসাইল আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে, যা তেল আবিবে আঘাত হানে এর প্রেক্ষিতেই এই হুশিয়ারী দিচ্ছিলেন কাতজ।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তেহরানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নিজ বাসভবনে এক হামলায় মৃত্যু হয় তার। সে সময় এ হামলার জন্য ইরান ও হামাস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করলেও তখন দেশটির পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়নি। দীর্ঘ সময় পর গতকাল সোমবার হানিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ।
৬২ বছর বয়সী হানিয়ে, হামাসের প্রধান নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার হত্যার পর হামাস ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নতুন নেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়।
হুথিরা ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং তারা গত অক্টোবরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজে আক্রমণ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এমএম