ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন ‘সীমাহীন’। দেশটি ইউরোপের জন্য সরাসরি হুমকি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ট্রান্স আন্টলান্টিক সম্পর্ক নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যেই তিনি এমনটি বললেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ নেতা বৃহস্পতিবারের প্রতিরক্ষা সম্মেলনের জন্য একত্রিত হচ্ছেন। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডার পর প্রথমবার ইউরোপের নেতারা আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।
ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ ‘অবাস্তব’। তারা ইউরোপ থেকে আমেরিকান সেনা ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা ইউরোপীয় মিত্রদের তাদের প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করতে গিয়ে তার ইউরোপীয় মিত্রদের না জানিয়েই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন। এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তনে ইউরোপের মিত্র দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপের নেতারা স্পষ্টভাবে ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে থাকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের আশঙ্কা, যুদ্ধের ইতি টানার ক্ষেত্রে যেকোনো চুক্তিতে ইউক্রেন ও ইউরোপের স্বার্থ উপেক্ষিত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপকে একা দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকবে। তবে, যদি তা না হয়, তাহলে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ’
‘ইউরোপের ভবিষ্যৎ ওয়াশিংটন কিংবা মস্কোতে নির্ধারিত হওয়ার মতো বিষয় নয়,’ বলেন ম্যাক্রোঁ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তিনি আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনাপ্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা করেছেন, যারা রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির পর ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, তিনি তার ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যেন ফরাসি পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে সম্প্রসারিত হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাক্রোঁর টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণ ‘অত্যন্ত উসকানিমূলক’। এটা পরিষ্কার যে, ফ্রান্স শান্তির কথা ভাবছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৫
আরএইচ