গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪০৪ ছাড়িয়ে গেছে। ৫৬২জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে, তিনি গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
অন্যদিকে হামাস বলছে, ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার জন্য ইসরায়েল অবরুদ্ধ ও অরক্ষিত বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর বিশ্বাসঘাতকের মতো হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে।
অবাক করা তথ্য হলো, ইসরায়েল গত সপ্তাহেই গাজায় হামলার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে। সেই সময় একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কাতাদের রাজধানী দোহায় ছিল। মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফও দোহায় ছিলেন। কয়েকটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিনিধির সাথে মিলে সংকট সমাধানের উপায় বের করার চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় আবার হামলা শুরু করার পর কী ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবারের সদস্যরা। ইসরায়েলি জিম্মি ডেভিড এবং এরিয়েল কুনিওর মা ইসরায়েলি সংবাদপত্র মারিভকে বলেছেন যে,”আমি তাদের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা শোনেনি। মনে হচ্ছে নেতানিয়াহুর সরকারের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে এবং তারা অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে চায় না”। তিনি অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ‘হৃদয়হীন’ এবং গাজায় আরও ইসরায়েলি সৈন্যের জীবন উৎসর্গ করতে চান।
এমন পরিস্থিতে, মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং মিশরকেই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার উপায় বের করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, যা অবশ্যই খুব কঠিন।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
এমএইচডি/এমএম