মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন, যেগুলো এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।
এখন পর্যন্ত ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউস শুধু দুটি ফোনালাপের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে—একটি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এবং আরেকটি হয়েছে এই সপ্তাহের শুরুতে।
ওয়াশিংটন এক্সামিনারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এই সপ্তাহের ফোনালাপটি ছিল ‘খুব ইতিবাচক’।
তিনি আরও যোগ করেন, আমার মনে হয়, এটা ভালো কিছু শুরু করার প্রথম ধাপ। যদিও আসল শুরুটা তিন-চার সপ্তাহ আগেই হয়ে গেছে। আপনারা জানেন, এটা শুধু এই ফোনালাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর আগেও আমাদের কয়েকবার কথা হয়েছে।
ওয়াশিংটন বা মস্কো এখনও এই অতিরিক্ত কথোপকথনের তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগের আলোচনাগুলোও ‘ইতিবাচক’ ছিল।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, এই সপ্তাহের ফোনালাপে রাশিয়া ও ইউক্রেন আগামী ৩০ দিন একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি ‘একটা বড় অর্জন’।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন সঙ্গে সঙ্গেই রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তারা নিকোলায়েভ অঞ্চলের দিকে ছোড়া সাতটি ড্রোন মাঝপথেই গুলি করে নামিয়েছে তারা।
ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, এই সমঝোতা ‘আরো অনেক কিছু এগিয়ে নেবে’, যার মধ্যে রয়েছে ‘সঠিক সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি’।
তিনি আরও বলেন, এখন পরিস্থিতি একটু কঠিন, কারণ উভয় পক্ষের সেনারা সরাসরি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে... কিন্তু পরবর্তী ধাপ হবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি ও একটি চুক্তি।
এর আগে, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যা ইউক্রেন ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।
পুতিনও নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন, তবে তিনি কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পরেই এটি কার্যকর করতে চান। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঘিরে ফেলা ইউক্রেনীয় সেনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত।
এখন দেখার বিষয়, এই আলোচনাগুলো শেষ পর্যন্ত কতটা শান্তির দিকে এগোয়।
সূত্র: আরটি
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০,২০২৫
এমএম