ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের কারণে মার্কিন নৌ চলাচলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। বেশিরভাগ মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজ এখন লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে।
সিবিএস ফেস দ্যা নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ বলেন, আমাদের জাহাজগুলোর ৭৫ শতাংশই এখন সুয়েজ খালের পরিবর্তে আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে চলাচল করছে।
হুমকির তীব্রতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শেষবার যখন একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ওই প্রণালী দিয়ে যাচ্ছিল তখন এতে ২৩ বার আক্রমণ করা হয়।
এলএসইজি শিপিং রিসার্চ বলছে, এমন পরিবর্তন ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে জাহাজ চলাচলের সময় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে এবং প্রতি যাত্রায় প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হবে।
এদিকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অভিযান আরও তীব্র করেছে ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সম্প্রতি তারা লোহিত সাগর, বাব এল-মান্দেব, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে চলাচলকারী মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা করছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাসহ একাধিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে। তারা তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছে। এছাড়াও লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান ও এর সাথে থাকা যুদ্ধ জাহাজগুলোয় আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ওয়াল্টজ তার মন্তব্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কৌশল নিয়ে সমালোচনা করেছেন। আবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে নিয়ে খানিকটা প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনি আক্রমণের বিরুদ্ধে আরও আগেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল। আমার শক্ত ধারণা ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে ইয়েমেনে বিমান হামলা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২১ মার্চ, সাদা, হোদেইদা, সানা ও আল-বায়দাসহ ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালায়। সংবাদ মাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, হোদেইদরে আল-তুহায়তায় ছয়টি হামলা চালানো হয়। ওয়াল্টজের দাবি, মার্কিন হামলাগুলো আনসার আল্লাহ-এর মূল অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসএস/এমজে