যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল দুই দেশের কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে। আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার দারচিয়েভ, আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আছেন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোনাটা কুল্টার।
বহু বছর ধরে চলা টানাপোড়েন, হুমকি-ধামকি এবং কূটনৈতিক সম্পত্তি জব্দের মতো ঘটনাগুলো এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্কে জটিলতা তৈরি করেছে। এমন প্রেক্ষাপটেই উভয় পক্ষ চায় কূটনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনা।
তবে আলোচনার এজেন্ডা থেকে পুরোপুরি বাদ পড়েছে ইউক্রেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, এবারের আলোচনার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে—দুই দেশের দূতাবাস কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিস্তৃত আলোচনা তখনই সম্ভব, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটবে।
দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এনেছে। রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে কূটনীতিকদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, রাশিয়ায় তাদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা আরও ঘনীভূত করেছে সম্পর্ককে। ওয়াশিংটন ছয়টি রুশ সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের বাণিজ্য মিশন, লং আইল্যান্ডের কিলেনওয়ার্থ এস্টেট, মেরিল্যান্ডের পাইওনিয়ার পয়েন্ট ‘ডাচা’, এবং সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলের রাশিয়ান কনস্যুলেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
এমএইচডি/এমজে