ইসরায়েলের হাদেরা শহরের ওলগা সমুদ্র সৈকতে হাঙ্গরের আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনার ঝড়। সমুদ্রের ধারে ঘটে যাওয়া এই প্রাণঘাতী ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে, যেখানে দেখা যাচ্ছে—এক ব্যক্তি সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় হাঙ্গর টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে সৈকতটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলের উপকূলে হাঙ্গর প্রায়ই দেখা যায়। তবে প্রাণিটির এমন হামলা একেবারে বিরল। ইতিহাস বলছে, দেশটির প্রতিষ্ঠার পর হাঙ্গরের আক্রমণে এটাই প্রথম মৃত্যু। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪০ সালে।
ঘটনাটিকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এক নতুন আলোচনার ঢেউ। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী ব্যবহারকারীরা হাঙ্গরটিকে ‘আবু শার্ক’ বা ‘আল কাসেম শার্ক’ হিসেবে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করছেন। অনেকে একে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। শেয়ার করা হচ্ছে বিভিন্ন এডিটেড ছবি—যেখানে হাঙ্গরের গায়ে কেফিয়া, মাথায় হামাসের পতাকা কিংবা ক্যাপশন দেওয়া হচ্ছে ‘আবু শার্ক ফোর্সেস’ নামেও।
আগেও ইসরায়েলি সেনাদের ওপর বন্য প্রাণীর আক্রমণের ঘটনায় ব্যঙ্গচিত্র সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার সেই ধারাবাহিকতাতেই হাঙ্গরকে ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভূতি থেকেই এই প্রতিক্রিয়াগুলো জন্ম নিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
তবে ঘটনাটিকে ঘিরে বিতর্কও কম নয়। বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ও বিদ্রুপাত্মক কনটেন্ট শেয়ার করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক ইসরায়েলি ব্যবহারকারী। তারা এই ঘটনাকে মানবিকতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
এমজে