ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে পিছু হটবে না ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি রবিবার (১৮ মে) সতর্ক করে বলেন, এমন অবাস্তব প্রত্যাশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পরোক্ষ আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারে।
আরাঘচি বলেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এমন কিছু নয় যা থামাতে হবে। তার দাবি, এটি ইরানের বৈধ অধিকার, ইরানি জাতির একটি বড় বৈজ্ঞানিক অর্জন। এর জন্য ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের মূল্যবান জীবন উৎসর্গের কথাও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্মরণ করেন। তিনি আরও বলেন, ইরান এই প্রযুক্তি ত্যাগ করবে, এমন আশা যেন কেউ না করে। এই নীতি মেনে নিতে না পারলে যেকোনো আলোচনা ব্যর্থ হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। তবে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না, এটা নিশ্চিত করাই যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে তা পুরোপুরি অর্জন করা যাবে বলে আগাঘচি জানান।
তেহরান সংলাপ ফোরামের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আরাঘচি বলেন, আমরা ইউরোপের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা যত বেশি পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তুলব, ততই ভালো। আমরা চাই ইউরোপ তার ভূমিকা পালন করুক। যদিও দুর্ভাগ্যবশত তারা তাদের ভূমিকা দুর্বল করে দিয়েছে।
পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে তীব্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে আরাঘচি এসব মন্তব্য করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে পশ্চিম এশিয়ার জন্য মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি বলেন, ইরানকে ১ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতিও যুক্তরাষ্ট্র দিতে পারে না। তার দাবি, অসম্মান না দেখিয়ে ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উইটকফ আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, চুক্তিতে ইরানের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণই রাখা উচিত নয়। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি স্পষ্ট সীমারেখা।
ইরান তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চার দফা পরোক্ষ আলোচনা করেছে। দুই পক্ষই ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছে।
এমএইচডি/এমএম