ইসরায়েল বলেছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে। একদিন আগেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
হুতি-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ টিভি বুধবার জানায়, চারটি হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ইয়েমেনিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বুধবার বলেন, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হুতি যোদ্ধাদের অবকাঠামোয় আঘাত করেছে এবং বিমানবন্দরে থাকা সর্বশেষ বিমানটিকেও ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, এটি একটি স্পষ্ট বার্তা এবং আমাদের নীতির ধারাবাহিকতা। যারা ইসরায়েলে হামলা চালাবে, তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
আগের দিন হুতি যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করে। পরে হুতিরা জানায়, তারা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
ইয়েমেনের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর সানা বিমানবন্দর। গত সপ্তাহে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হয়। এর আগে ইসরায়েলের হামলায় সানা বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এটি মূলত জাতিসংঘের উড়োজাহাজ এবং ইয়েমেনিয়া এয়ারওয়েজের একমাত্র টিকে থাকা বেসামরিক উড়োজাহাজের জন্য ব্যবহৃত হতো। আগের হামলায় এই এয়ারওয়েজের আরও তিনটি বিমান ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকেই হুতি গোষ্ঠী বারবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা বলছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা করছে।
আরএইচ