ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শনিবারই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হচ্ছে

দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত জয়ললিতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪
দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত জয়ললিতা

ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ‍মামলায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে নিশ্চিতই দণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’।

এ কারণে শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হচ্ছে তাকে।

শনিবার দুপুরে দীর্ঘ শুনানির পর ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তবে, এখনও দণ্ড ঘোষণা করা হয়নি। অবশ্য, কী দণ্ড ঘোষণা করা হয় সেদিকে তাকিয়ে পুরো ভারতবাসী।

আইনজীবীরা জানান, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী শনিবারই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে জয়ললিতাকে। অবশ্য রাজ্যের ক্ষমতা ছাড়তে হবে না তার দলকে। সেক্ষেত্রে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের কোনো শীর্ষ নেতাকে বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসিতে।

১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ১৮ বছর পর রায় ঘোষণা হচ্ছে ওই মামলাটির ।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে  ইতোমধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে রায় ঘোষণার শহর কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সহ পুরো তামিলনাড়ুতে।

সকালে জয়ললিতার দলের (এআইএডিএমকে) সদস্যরা আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা পুলিশের ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশে দু’হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ব্যাঙ্গালুরুতে মোতায়েন রয়েছে চার হাজার পুলিশ। এছাড়া তামিলনাড়ু-কর্ণাটক সীমান্তে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মামলার বিষয়ে প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৯১ সালে জয়ললিতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার ৩ কোটি রুপির সম্পদ ছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ‍তার বেতন ছিল মাত্র এক রুপি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। অথচ ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তার পরিবারের সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি রুপিতে। যা তার তৎকালীন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না।

অভিযোগে বলা হয়, জয়ললিতা দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণের মালিক। তাছাড়া তার শাড়ির সংখ্যা ১২ হাজার বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে পালিত ছেলের বিয়েতে তিনি পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ প্রমাণে সরকারের পক্ষে মোট দুইশ’ ৫৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর জয়ললিতার পক্ষে সাক্ষ্য দেন ৯৯ জন। তবে জয়ললিতার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা কাজটি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪

** আজই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি হারাচ্ছেন জয়ললিতা!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।