ঢাকা: বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মাঝে মাঝেই ভারতীয় মিডিয়ার শিরোনামে উঠে আসেন বিচারপতি মারকানডে কাজু।
দিল্লির নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি টুইটারে করা তার মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি করেছে নতুন সমালোচনা।
আম আদমি পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাজিয়া ইলমি পেয়েছেন বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির টিকিট।
অবশ্য লাস্যময়ী সাজিয়ার থেকে ভারতের ডাকসাইটে নারী পুলিশ কর্মকর্তা কিরণ বেদীর ভাগ্য অনেক ভালো। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি পেয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন।
তো, সাজিয়া ইলমিকে কিরন বেদীর থেকে বেশি সুন্দরী রায় প্রদান করে টুইট করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন মারকানডে কাজু।
টুইটারে তিনি বলেন, সাজিয়া ইলমি কিরন বেদীর থেকে বেশি সুন্দর, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে তার নামই ঘোষণা করা উচিত ছিলো বিজেপির।
উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ভারতীয প্রেস কাউন্সিলের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাজিয়া যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে লড়তেন তাহলে দিল্লিতে বিজেপিই জিততো।
এ প্রসঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মানুষ সাধারণত সুন্দর চেহারা দেখে ভোট দেয়। যারা ভোট দেয় না তারাও সাজিয়ার সুন্দর চেহারা দেখে তাকে ভোট দিতো। এমনকি তিনি নিজে সাধারণত ভোট না দিতে গেলেও সাজিয়াকে তিনি ভোট দিতেন বলেও মন্তব্য করেন মারকানডে।
তবে তার মন্তব্যকে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারতে। এতে অবশ্য নির্বিকার মারকানডে। সম্পূর্ণ ব্যাপারটাইকেই হাস্যরস বলে উড়িয়ে দিয়ে এই বিচারপতি বলেন,‘সমালোচকদের নিজের সেন্স অব হিউমার বাড়াতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫