ঢাকা: সৌদি নেতৃত্বে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর চলমান যৌথ হামলার মধ্যেই বন্দরনগরী এডেনের দিকে অগ্রসর হয়েছে ইয়েমেনে শিয়া জায়দি হুথি বিদ্রোহীরা।
বুধবার (০১ এপ্রিল) দেশটির বন্দরনগরী এডেনের আরো ভেতরে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, চারটি ট্যাংক ও তিনটি সামরিক গাড়িতে করে আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হুথিরা এডেনে প্রবেশ করে।
গত ৫ দিনে এই এলাকায় সৌদি নেতৃত্বে বিমান হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত একশ’ ২২ ব্যক্তির প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক অধিবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রাণভয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
গত ২৫ মার্চ হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো সামরিক অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত উপসাগরীয় ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে ইয়েমেন সরকারের ‘হস্তক্ষেপ‘ কামনার প্রেক্ষিতে এ হামলা শুরু করা হয় বলে সে সময় সৌদি আরব জানায়।
এর আগে ইরানি পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে দেশটির প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে সানা থেকে পালিয়ে বন্দর নগরী এডেনে চলে যেতে বাধ্য করে।
আনসার আল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে জায়দি সম্প্রদায়ভুক্ত শিয়া সংগঠন। জায়দি শিয়ারা হযরত হোসেনের (রা.) দৌহিত্র জায়দ ইবনে আলির অনুসারী। সংগঠনটির নামকরণ করা হয় হুসেইন বদরেদ্দিন আল-হুথির নাম থেকে। ২০০৪ সালে ইয়েমেনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। তাকেই নিজেদের আধ্যাত্মিক নেতা মনে করে হুথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৫