ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় ২ অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড

ক্ষমাভিক্ষা খারিজের পর নতুন আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
ক্ষমাভিক্ষা খারিজের পর নতুন আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনা

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই অস্ট্রেলীয়কে বাঁচাতে নতুন আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের আইনজীবী। ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা।



সোমবার (০৬ এপ্রিল) জাকার্তার একটি প্রশাসনিক আদালত তাদের আপিল খারিজ করে দিয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে এখতিয়ার নেই জানিয়ে ওই আদালত এ মামলা নিতেও অপারগতা জানান।

এরপরই কুখ্যাত ‘বালি নাইন’ মাদক চোরাচালানি সংঘের সদস্য অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারানের আইনজীবী মাইকেল ও’কনেল সাংবিধানিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সংবাদমাধ্যমকে মাইকেল বলেন, এ দুই আসামি গত দশ বছরে নিজেদের সংশোধন করে নিয়েছেন। বিষয়টি ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইনি ব্যবস্থা সঠিক ও প্রকৃতভাবে অনুধাবন করতে পারেনি বলে আমাদের ধারণা।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক আদালতে আর কোনো আপিলের সুযোগ নেই। অ্যান্ড্রু ও মিউরান এখন ইন্দোনেশিয়ার সাংবিধানিক আদালতে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমাভিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সঠিক ও প্রকৃতভাবে তাদের সংশোধনীর বিষয়টি বোঝার দায়িত্ব রয়েছে, এটিও উপস্থাপন করা হবে আদালতে।

অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারান চলতি সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ার সাংবিধানিক আদালতে আপিল করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সুবাদে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে এ আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

কুখ্যাত ‘বালি নাইন’ গ্রুপের সদস্য অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারান ২০০৫ সালে মাদক চোরাচালানের দায়ে ইন্দোনেশীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, খুব শিগগিরই এ দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের সঙ্গে মাদক চোরাচালানের দায়ে দণ্ডিত আরও ১০ বিদেশিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

গত বছর ইন্দোনেশিয়ার ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট উইডোডো মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ওই দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিককে দণ্ডিত করতে তিনি দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকেও বারবার প্রত্যাখ্যানে কুণ্ঠাবোধ করেননি। ফলে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।


বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
আরএইচ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।