ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসীদের ওপর চলমান হামলা-লুটপাট বন্ধে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
রোববার (১৯ এপ্রিল) জোহান্সবার্গ থেকেই তিনশ’ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
এদিকে, অভিবাসী বিরোধী এ সহিংসতায় যেকোনো ধরণের নাশকতা ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
৩০ মার্চ থেকে ফুঁসে ওঠা এ সহিংসতায় শুধুমাত্র কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশ থেকেই এক হাজারের বেশি অভিবাসী ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর পরপরই জোহান্সবার্গসহ বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এ সহিংসতা।
চলমান এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ। এদের মধ্যে শনিবারই (১৮ এপ্রিল) দুইজন নিহত হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের রাজধানী ডারবানে এক অস্থায়ী উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন শেষে টেলিভিশন বক্তৃতায় যেকোনো মূল্যে সহিংসতা বন্ধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
এ সময় তিনি বলেন, যারা এই সহিংসতার জন্ম দিয়েছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। যেকোনো মূল্যে আমরা এই সহিংসতা বন্ধ করব।
তবে সমালোচকরা মনে করছেন, জুমা’র ‘ধীরে চল’ নীতিই সহিংসতাকে এতোটা উস্কে দিতে পেরেছে।
১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর বিদেশিরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমাতে শুরু করে। এর মধ্যে আফ্রিকার অন্যান্য দেশ ও এশিয়া মহাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ সেখানে জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমায়।
সরকারি হিসাবে, দেশটিতে প্রায় বিশ লাখ অভিবাসী রয়েছেন, যা এর মোট জনসংখ্যার চার শতাংশ। তবে বেসরকারি কিছু সংস্থার তথ্যে সেখানে পঞ্চাশ লাখ অভিবাসী থাকার কথা দাবি করা হয়।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার ২৪ শতাংশ। সেখানকার স্থানীয়দের অনেকেই নিজেদের বেকারত্বের কারণ হিসেবে অভিবাসীদেরকে দায়ী বলে মনে করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাদের একটা পক্ষ দেশ থেকে বিদেশিদের বিতাড়নে সহিংস হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
আরএইচ/আরআই