ঢাকা: দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে চলমান মার্কিন-চীন টানাপোড়েনকে সামনে রেখে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে চীন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) চীনা রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ ঘোষণার খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় কাউন্সিল জানায়, খোলা সমুদ্র ও উপকূল রক্ষায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে চীনা এলাকায় নজর রাখবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী তার বৈশ্বিক পদচারনা বাড়াবে। এছাড়া গোলন্দাজ বাহিনীর শক্তিও বৃদ্ধি করা হবে।
প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ দক্ষিণ চীন সাগরের মোট আয়তন ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। সাগরটির তীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে চীন, তাইওয়ান, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। তবে সাগরটির ৯০ শতাংশ এলাকা নিজের বলে দাবি করেছে চীন। এর ফলে সাগরটির ওপর তীরবর্তী বাকি দেশগুলোর দাবি প্রত্যাখ্যানও করা হয়েছে। এদিকে, চীনের এ কার্যক্রম আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি উল্লেখ করে নজরদারি শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রচুর পরিমাণ তেল ও গ্যাস রয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নৌপরিবহণ এই সাগর দিয়েই হয়ে থাকে। এর ফলে সাগরের ওপর কর্তৃত্বকারী দেশ সবদিক থেকেই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া এশিয়া মহাদেশে আধিপত্য বিস্তারেও এই সাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে মনে করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের যে এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ চলছে, সেখানে নিয়মিতই চলছে মার্কিন নজরদারি। ওই এলাকার আকাশে প্রায়ই দেখা দিচ্ছে দেশটির যুদ্ধবিমান। এছাড়া আশেপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে মার্কিন নৌজাহাজ।
তবে চীনের দাবিকে সমর্থন না দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির কার্যক্রমে মার্কিন নজরদারি বেশ অস্বস্তিতেই ফেলে দিয়েছে চীনকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, চীন যা করতে চাইছে, তা বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্ক্ষলা বিঘ্নিতই হবে।
** দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-চীন
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
আরএইচ