ঢাকা: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি হিন্দু ও পাকিস্তানি শিখ সম্প্রদায়ের লোকদের সে দেশে আইনি বৈধতা দেওয়ার চিন্তা করছে মোদি সরকার।
সামনের বছর অনুষ্ঠিতব্য আসাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এ উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত।
তবে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা পাশের এই দুই দেশ থেকে ভারতে গিয়ে বসবাস করছেন শুধু এমন হিন্দু ও শিখদেরই এই সুবিধা দেওয়া হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এসব অবৈধ বসবাসকারীদের বৈধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এদিকে, ১৯৮৫ সালে সাক্ষরিত কেন্দ্রীয় সরকার এবং আসাম রাজ্য সরকারের মধ্যকার ‘আসাম অ্যাকর্ড’ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরনার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু গত বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অবৈধ বসবাসকারীদের বৈধতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ওই চুক্তিটি সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়ে ভারসাম্য আনার কথা ছিল মোদি সরকারের। যা নিয়ে সেদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ দেখা দিয়েছে।
এদিকে, গত ২৭ এপ্রিল আসামে সফরে গিয়ে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ঘোষণা দিয়েছেন, এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এমনকি, এ রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসও এ মনোভাবের পক্ষে। আসামের সরকার প্রধান তরুণ গগৈ মানবিকতা বিবেচনায় একাধিকবার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
এসআর