ঢাকা: গ্রিসে গণভোটে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনের শর্তসংবলিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব (বেইলআউট) প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর পদত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস। ‘ঋণদাতা মোড়ল’দের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীকে বাড়তি সুবিধা দিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৬ জুলাই) নিজের ব্যক্তিগত ব্লগে এক বার্তার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ভারোফাকিস।
পদত্যাগ বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, গণভোটের পর গ্রিসের সঙ্গে ইউরোগ্রুপের আলোচনা-সংলাপে তাকে আর দেখতে না চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সহযোগী দেশগুলোর মন্ত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসকে গণভোটের ফলাফলের সুর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ দিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রোববারের (৫ জুলাই) গণভোটের ফলাফল গ্রিসের ঋণ-দাসত্ববিরোধী জনগণের ইতিহাসের স্মরণীয় সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে বলেও বার্তায় যোগ করেন পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী।
ঋণদাতাদের দেওয়া কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনের শর্তসংবলিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব (বেইলআউট) গ্রহণ করা হবে কি না- সে বিষয়ে অনুষ্ঠিত রোববারের গণভোটে ‘ঐতিহাসিক’ রায় দেয় গ্রিস জনগণ। ৬১.৩১ ভাগ মানুষ ‘না’ ভোট দিয়ে ‘ঋণ মোড়ল’দের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে ঋণ প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয় ৩৮.৬৯ ভাগ মানুষ।
ফলাফল ঘোষণার গ্রিক প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, গ্রিসের জনগণ ইউরোপের ঐক্য ও গণতন্ত্র বজায় রাখার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। গত সপ্তাহে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়েও আপনারা দুঃসাহসী রায় দিয়েছেন।
‘না’ ভোট জয়ী হলেও ঋণ প্রস্তাবের পক্ষের অর্থাৎ ‘হ্যাঁ’ ভোটের প্রচারক বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন, এ ফলাফলের কারণে গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। সে কারণে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে গ্রিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫
এইচএ