ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রথম ডেমোক্রেটিক বিতর্কযুদ্ধে হিলারি-বার্নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
প্রথম ডেমোক্রেটিক বিতর্কযুদ্ধে হিলারি-বার্নি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এতে নির্বাচিত হবেন দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।

আগামী বছরের প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। তবে তার আগে চলতি বছরই লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন। এরই ধারায় ডেমোক্রেটিক দলের প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বার্নি স্যান্ডার্স।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে আয়োজিত এ বিতর্কে ওয়াল স্ট্রিট সংস্কার, অস্ত্র নিরাপত্তা ও আমেরিকান পুঁজিবাদের সংজ্ঞাসহ অনেক বিষয়ই উঠে আসে। এতে হিলারি ও স্যান্ডার্স ছাড়াও অংশ নেন মেরিল্যান্ড গভর্নর মার্টিন ও’মেলে, রোড আইল্যান্ডের সাবেক গভর্নর লিঙ্কন চাফি।

বিতর্কে হিলারি ও স্যান্ডার্স একে অপরের সরাসরি সমালোচনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল বিতর্কের বিষয়টিও উঠে আসে। জবাবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে তিনি কোনো ভুলই করেননি। বিষয়টি থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরানো এখন সময়ের দাবি।

সঙ্গে সঙ্গে স্যান্ডার্স বলে ওঠেন, হিলারি ঠিকই বলেছেন। আপনার এই ইমেইল বিতর্কের কথা শুনতে শুনতে আমেরিকার মানুষ ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এ সময় বার্নি স্যান্ডার্সকে ধন্যবাদ জানান হিলারি। তারা পরস্পরের সঙ্গে হাতও মেলান।  

তবে বিতর্কে অগ্নিসংযোগ হয় তখনই, যখন স্যান্ডার্স নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজবাদি বলে দাবি করেন। এসময় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ভার্মন্টের এই সিনেটরের আগের রেকর্ড উল্লেখ করে জানান, কংগ্রেসে ব্র্যাডি হ্যান্ডগান বিলে স্যান্ডার্স পাঁচবার ভোট দিয়েছেন। তিনি অস্ত্র ব্যবসায় উৎসাহ যুগিয়েছেন। ক্লিনটন ওয়াল স্ট্রিট সংস্কারে স্যান্ডার্সের প্রস্তাবেরও চ্যালেঞ্জ করেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও দু’জন দ্বিমত পোষণ করেন। স্যান্ডার্স বড় ব্যাংকিং ব্যবস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানোর যুক্তি দেখালে হিলারি এসব প্রতিষ্ঠানে সূক্ষ্ম সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেন।

স্যান্ডার্সকে উদ্দেশ্য করে এসময় হিলারি বলেন, যদি শুধু বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে দেখেন তাহলে হয়তো ছোট জঞ্জালগুলো আপনার নজরে আসবে না।

এ ব্যাপারে স্যান্ডার্স কিছু না বলে তিনি ক্লিনটনের ওয়ালস্ট্রিট সংস্কারকে ‘সাদাসিধা’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস কখনও ওয়াল স্ট্রিটকে নিয়ন্ত্রণ করে না। ওয়াল স্ট্রিটই কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করে।

বিতর্কের এক পর্যায়ে যখন ইরাক-যুদ্ধ ইস্যুটি উঠে আসে, তখনই চাপে পড়ে যান হিলারি। অংশ নেওয়া সব প্রতিদ্বন্দ্বিই ২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার জন্য তার ব্যাপক সমালোচনা করেন। এসময় তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

শেষ পর্যন্ত হিলারি বলেন, আমি এখানে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছি। চারদিক থেকে বিভিন্ন ইস্যু ছুটে আসছে। আমি একজন প্রগতিশীল মানুষ। তবে সেই ধরনের মানুষই আমি, যে সবকিছু সম্পন্ন হওয়া দেখতে ভালোবাসে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫/আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।