ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পরমাণু কর্মসূচিতে যেতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
পরমাণু কর্মসূচিতে যেতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পরমাণু কর্মসূচিতে যেতে চাইছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এক কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি সম্পাদনকে কেন্দ্র করেই এ পদক্ষেপের কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েও দিয়েছে দেশটি।

রিপাবলিকান নেতা, মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ও কংগ্রেসে পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়সে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কথা বলতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা টেলিফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে আরব আমিরাত বেরিয়ে আসতে চাইছে বলে জানিয়েছেন ইউসুফ।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এড রয়সে বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন, আপনাদের জঘন্যতম শত্রু যদি ইউরেনিয়াম মজুতের অধিকার পায়, তাহলে আমরা কেন বাকি থাকবো? যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমাদেরও ইউরেনিয়াম মজুতের অধিকার রয়েছে।

২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি সম্পাদন করে। এ চুক্তি ‘১২৩-চুক্তি’ নামে পরিচিত। এতে দুই দেশের মধ্যে পণ্য, প্রযুক্তি ও পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে চুক্তির শর্ত মেনে নিয়ে আমিরাত সে সময় ইউরেনিয়াম মজুত বা প্লুটোনিয়াম সংগ্রহে দাহ্য জ্বালানি প্রক্রিয়াকরণ করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে ওয়াশিংটনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয়, দেশটির সরকার তার প্রতিশ্রুতি থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যায়নি।

এর আগে চলতি বছর জুলাইয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি সম্পাদন করলে আরব আমিরাত স্বাগত জানিয়েছিল।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশটির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হয়। বিশেষ করে, বাণিজ্য ও নীতিগত বিষয়গুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। তারওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে পরিচালিত সামরিক অভিযানে অংশ নিয়ে সেখানে আরব আমিরাতের সেনা পাঠানোর ঘটনাও দুই দেশের মধ্যের দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
আরএইচএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।