ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কেএফসি’র চিকেনে ফুসফুস!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬
কেএফসি’র চিকেনে ফুসফুস!

ঢাকা: ফাস্টফুডের স্বাদকে কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন বা কেএফসি এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এখন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডটির নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল চলে আসে। কিন্তু ভোজনরসিকদের পছন্দের তালিকায় থাকা চেইন ফাস্টফুড শপটি এবার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে, যা মোটেই শোভন নয়।



অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব-উপকূলীয় গোল্ডকোস্টের শেভরন আইল্যান্ডের বাসিন্দা ও আইটি টেকনিশিয়ান মার্ক নিকোলস (৩০) মঙ্গলবার (০২ ফেব্রয়ারি) তার ছুটির দিনে থেমেছিলেন সেখানকার একটি কেএফসি ল্যাব্রাডরে। কেএফসি’র ১২ দশমিক ৫০ ডলারের (৭৭.৩০ টাকায় ডলার হিসাবে ৯৬৬ টাকা ৩১ পয়সা) ‘থ্রি-পিস প্যাকেজ’ অর্ডার করেছিলেন তিনি। এ প্যাকেজে মুরগির দু’টি পাখা ও বক্ষদেশ থাকে।

কিন্তু খেতে গিয়ে যা ঘটলো, তা মোটেই সুখকর ছিল না মার্কের জন্য। মুরগির বক্ষদেশের টুকরোয় কামড় বসাতেই এক ‘জঘন্য’ অনুভুতি আর স্বাদে ভরে গেল তার মুখ। ধূসর মস্তিষ্কের মতো দেখতে একটি মাংসপিণ্ড সেখানে। ভালো করে খেয়াল করতেই বোঝা গেল, ওটা আসলে মুরগির ফুসফুস।

মার্ক নিকোলসের ভাষায়, এটা খুবই বিরক্তিকর। পুরোপুরি জঘন্য একটা ব্যাপার। কেএফসি’র ল্যাব্রাডারে আমি ‘থ্রি-পিস প্যাকেজ’ অর্ডার করেছিলাম। কে জানতো, আমার জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্চর্য অপেক্ষা করছে ওই প্যাকেজে।

ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। অভিযোগ জানানোর পর অর্থ ফেরত দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে কেএফসি কর্তৃপক্ষ।

মার্ক জানান, কেএফসি’র কর্মীদের বিষয়টা জানালে তারা মাংসপিণ্ডটা একটি ফুসফুস বলে মন্তব্য করে কাস্টোমার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ ফেরত দিতে তারা অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে, কেএফসি’র একজন মুখপাত্র বলেছেন, মাংসপিণ্ডটা মুরগির ফুসফুস হতে পারে। কিংবা কিডনিও হতে পারে। ভুলবশত ওটা সরানো হয়নি। বেশিরভাগ সময়ই প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এগুলো সরিয়ে ফেলা হলেও কখনো কখনো রয়ে যায়। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। মুরগির ফুসফুস বা কিডনি খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কোনো আশঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।