ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের ময়দানে ফ্রন্টলাইনে থাকবেন ভারতীয় নারী সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
যুদ্ধের ময়দানে ফ্রন্টলাইনে থাকবেন ভারতীয় নারী সেনারা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তিন বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত বেশ আগেই নিয়েছে ভারত। এবার নারী সেনাদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি।

শুধু সেনাবাহিনীই নয়, নৌ ও বিমান বাহিনীর নারী সদস্যরাও লড়াইয়ের সুযোগ পাবেন।

গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাজেট অধিবেশনের আগে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় একযোগে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি সামরিক বাহিনীতে লড়াকু নারী সেনা নিয়োগের কথা বলেন।

তবে এর আগেও এ ধরনের প্রস্তাব আসে ভারত সরকারের কাছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক বাহিনীর এ দেশটি সে সময় তা মানতে নারাজ ছিল। সরকার যুক্তি দেখায়, যুদ্ধক্ষেত্রে ধরা পড়লে শত্রুপক্ষের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে পারেন নারীরা। এছাড়া ফ্রন্টলাইনে অবস্থান নেওয়ার মতো শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাও তাদের নেই।

ভাষণে প্রণব মুখার্জি বলেন, আমাদের সরকার সেনাবাহিনীতে শর্টসার্ভিস কমিশন কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের যোগদানের সুযোগ দিয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হিসেবে যোগদানেরও সুযোগ পাচ্ছেন তারা। ভবিষ্যতে আমাদের সরকার সামরিক বাহিনীর লড়াকু বহরেও নারীদের নিয়োগ দেবে।

তিনি বলেন, নারী শক্তির উদ্ভাস ঘটানোর মধ্যেই আমাদের দেশের মূল শক্তি লুকিয়ে। এ শক্তিই আমাদের সক্ষমতার পরিচয় বহন করছে।

তবে নারীদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতই বিশ্বের প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে তাদের লড়াকু বহরে নারী সেনা নিয়োগ দিয়ে এগিয়ে রয়েছে।

চিকিৎসা বহরের বাইরে ভারত তার সামরিক বাহিনীতে প্রথম নারী সদস্য নিয়োগ শুরু করে ১৯৯২ সালে। তারপরও তিন বাহিনীতে মোট জনবলের তূলনায় নারীদের সংখ্যা মাত্র আড়াই শতাংশ। অর্থাৎ, দশ লাখ বা তার কিছু বেশি। এদের বেশিরভাগই প্রশাসনিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং চিকিৎসক, সেবিকা ও দন্তচিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

গত বছরের অক্টোবর মাসে লড়াকু বহরে নারীদের নিয়োগের ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হিসেবে তাদের নিয়োগ দিতে শুরু করে। নিয়োগপ্রাপ্ত এ নারী পাইলটরা বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিন বছর অভিজ্ঞতা অর্জনের পর ২০১৭ সালের জুন মাসে তারা প্রথম যুদ্ধবিমান ওড়াবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।