ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৭২ বিশ্বনেতার অর্থ লোপাটের গোমর ফাঁস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৬
৭২ বিশ্বনেতার অর্থ লোপাটের গোমর ফাঁস

ঢাকা: মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার একটি ল’ ফার্মের এক কোটি ১০ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়ে গেছে। আর এতে খসে পড়েছে বিশ্বের লুটেরা নেতাদের গোমর, যারা কর ফাঁকিসহ জালিয়াতি-লুটতরাজ করে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

 

এদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সৌদি আরবের একজন বাদশাহ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর গুনলাউগসনের মতো লোকেরা। রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউও। এমনকি ফুটবল বিস্ময় লিওনেল মেসি, বলিউডের কয়েকজন খ্যাতিমান তারকা, ভারতের কিছু শিল্পপতিও রয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন চলছে।

মোস্যাক ফনসেকা নামে নামে ওই ল’ ফার্মটির ফাঁস হওয়া নথিগুলো এখন নিরীক্ষা করছে বিশ্বের শীর্ষ সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপনীয়তা রক্ষা করে কার্যক্রম চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোস্যাক ফনসেকা অন্যতম। ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে গোপনীয়তার আড়ালে ল’ ফার্মটি বিশ্বনেতাদের অর্থপাচার, নিষেধাজ্ঞা এড়ানো এবং কর ফাঁকিতে সহযোগিতা করেছে।

ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে আরও উঠে এসেছে, স্বৈরশাসকসহ বিশ্বের সাবেক বা বর্তমান ৭২ রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের নিজেদের দেশ থেকে অর্থ লোপাটের ভয়াবহ চিত্র। এদের পাশাপাশি উঠে এসেছে শিল্পপতি, খেলোয়াড়, রুপালি পর্দার তারকা, বিশেষ ব্যক্তিত্বদেরও অর্থ কেলেঙ্কারির তথ্য।

যদিও মোস্যাক ফনসেকার দাবি, তারা বিগত ৪০ বছর ধরে সব প্রশ্নের উর্ধ্বে থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং সে কারণে কখনোই তাদের অভিযুক্ত হতে হয়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে’র ডিরেক্টর জেরার্ড রাইল বলেন, নথিগুলোতে মোস্যাকের গত ৪০ বছরের প্রতিদিনকার কার্যক্রমের তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। যদি নথিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হয়, তবে তা  পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম সরাসরি কোনো নথিতে দেখা না গেলেও তার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ একটি অর্থপাচার চক্রে জড়িত বলে স্পষ্ট হয়েছে। আর ওই চক্রের লোকেরা এক্ষেত্রে ব্যবহার করছিলেন একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংককে।

তবে নথিগুলোর বিষয়ে তৎক্ষণাৎ কোনো মন্তব্য আসেনি অভিযুক্ত বিশ্বনেতা বা তারকাদের তরফ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬/আপডেট ১৫৫০ ঘণ্টা
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।