ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়া বিষয়ে যৌথ রণকৌশল নিচ্ছে তুরস্ক-রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
সিরিয়া বিষয়ে যৌথ রণকৌশল নিচ্ছে তুরস্ক-রাশিয়া ভ্লাদিমির পুতিন ও রজব তৈয়্যব এরদোগান

ঢাকা: সিরিয়া বিষয়ে যৌথ কর্মকৌশলে যাচ্ছে তুরস্ক ও রাশিয়া। তারা সামরিক, গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে যৌথ কর্মপদ্ধতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুত চোবুসোগলু বুধবার (১০ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) রাশিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সফররত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগানের বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানালেন।

চোবুসোগলু বলেন, সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান তুর্কি বাহিনীর গুলিতে ভূপাতিত হওয়ার পর দু’পক্ষের সম্পর্কে গত সাত মাস ধরে শীতলতা থাকলেও এরদোগান ও পুতিনের মধ্যকার বৈঠকের পর তা কেটে গেছে। আঙ্কারা-মস্কোর পথ চলা আরও প্রশস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, তুরস্ক ও রাশিয়া সামরিক, গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক কার্যক্রম চালানোর যৌথ কর্মপদ্ধতি নেবে। বুধবার রাতেই এ লক্ষ্যে আমাদের কর্মকর্তারা সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছেন। এই প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা থাকছেন।

প্রতিনিধি দলটি একটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করে এসব বিষয়ে আলোচনা করবে বলেও জানান চোবুসোগলু।

তুরস্কে সম্প্রতি ব্যর্থ সেনাঅভ্যুত্থান চেষ্টার পর মস্কোর দিকে ঝুঁকে পড়ে আঙ্কারা। কারণ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মনে করেন, ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র দেখভালে থাকা চিন্তাবিদ ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত। এরদোগান আরও মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা তুরস্কের অভ্যুত্থান চেষ্টার বিরোধী ছিলেন না এবং সিআইএ ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি বিদ্রোহীদের একটি অংশকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে আগে থেকেই মনে করে আঙ্কারা।

সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার খবরে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে কৌশলী থাকলেও এরদোগানকে ফোন করে পুতিন পাশে থাকার কথা জানালে সরাসরিই সম্পর্ক জোড়া লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এরদোগান। এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত নেন।

মঙ্গলবার সেই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে এরদোগান মস্কো-আঙ্কারার দূরত্ব ঘুচিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

বৈঠকের পর রুশ সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, কীভাবে, কোন পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা হবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন দু’দেশের প্রেসিডেন্ট। এ বৈঠকে আলোচনার পরই যৌথ কর্মকৌশলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
এইচএ/

** পুতিনের সঙ্গে এরদোগানের বৈঠক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।