ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ ঘণ্টা পর শিশুটি জীবিত উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৩, আগস্ট ২৫, ২০১৬
ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ ঘণ্টা পর শিশুটি জীবিত উদ্ধার ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা: ভূমিকম্পে ইতালির মধ্যাঞ্চলের পার্বত্য এলাকা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। নিহতদের স্বজন আর আহতদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে দেশটির আকাশ-বাতাস।

প্রকৃতির সঙ্গে না পেরে উঠা মানুষের তাই ভাগ্য দেবতার দিকে চেয়ে থাকা। ভূমিকম্পের পর বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে দেশটির পেসকারা ডেল ট্রনটো শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নাটকীয়ভাবে ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে। যা এখন অন্যতম আলোচনার বিষয়।

ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। উদ্ধারকার্য চালানোর এক পর্যায়ে দানিলো দায়োনিসি নামে এক উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কোনো কিছু নড়াচড়ার শব্দ পান। সঙ্গে-সঙ্গে সেই উদ্ধারকর্মী তার সতীর্থদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘চুপ করো, চুপ করো। এখানে তোমরা কিছু শুনতে পাচ্ছো?’

পরে ধ্বংসস্তূপের নিচে শিশুটির অস্তিত্ব টের পেয়ে ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, ‘চলে আসো গিলিয়া, চলে আসো। ’ এরপর উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে গিলিয়াকে উদ্ধার করেন। গিলিয়াকে বাঁচানোর আনন্দে সবাই উল্লাসে ফেটে পড়েন। গিলিয়া গুরুতর আহত হয়নি। তাই তাকে নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই।

উদ্ধারকর্মী দানিলো দায়োনিসি জানান, গিলিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুসংবাদ হচ্ছে, ভয়ের কিছু নেই, গিলিয়া এখন আশঙ্কামুক্ত।

ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে গিলিয়া ধ্বংসস্তূপের ফাঁকে আটেক পড়ে। ফলে ১৭ ঘণ্টা অন্ধকারচ্ছন্ন দুঃসহ সময় কাটালেও প্রাণে বেঁচে যায়। বলা হচ্ছে, রাতে ঘুমের ঘোরে গিলিয়ার বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে নিহত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় দিনগত রাত সাড়ে ৩টা ৩৬ মিনিটে শক্তিশ‍ালী ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে ইতালিতে। এতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪৭ জন নিহত হওয়ার খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৬
টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।