ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি কন্যাশিশুর বিয়ে হয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি কন্যাশিশুর বিয়ে হয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বে প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি করে কন্যাশিশুর বিয়ে হয়, যাদের বয়স ১৫ বছরেরও কম। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে।

আর এই শিশুদের বিয়ে হয় তাদের চেয়ে অনেক বেশি বয়স্ক লোকের সঙ্গে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) শিশু অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

বাল্যবিয়ে, শিশুশিক্ষা, কৈশোরে গর্ভধারণ ও মাতৃমৃত্যুর হারসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

প্রতিবেদনটির তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে নাইজার, শাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি, সিয়েরা লিওন ও সোমালিয়া। রয়েছে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ভারতও।

সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দেশে বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ হলো সংঘাত, দারিদ্র্য ও মানবিক সংকট। সিয়েরা লিওনে যখন ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন স্কুল বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১৪ হাজার কিশোরী গর্ভধারণের শিকার হয়। এছাড়া, যুদ্ধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে দ্রুত বিয়ের প্রবণতা দেখা যায়।

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সংস্থা ইউনিসেফ’র এক প্রতিবেদন মতে, এখন বিশ্বে অন্তত ৭০ কোটি কন্যাশিশু বাল্যবিবাহিত। এটা ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫ কোটিতে।

এ বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হেলে থর্নিং-শমিদ এক বিবৃতিতে বলেন, বাল্যবিয়ে হলো একটি মেয়েকে শিক্ষা ও উন্নয়নের মতো মৌলিক অধিকারবঞ্চিত করে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রের শুরু।

তিনি বলেন, যে মেয়েরা অল্প বয়সেই বিয়ে করতে বাধ্য হয় তারা আর স্কুলে যেতে পারে না। ক্রমান্বয়ে তাদের পারিবারিক সহিংসতা, নিপীড়ন ও ধর্ষণের মুখে পড়তে হয়। তারা সন্তান ধারণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে যায়। বেড়ে যায় তাদের এইডসসহ যৌনতাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬/আপডেট ১৮০৪ ঘণ্টা
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।