ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙার এই তো সময় হিলারির

সজিব তৌহিদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
২৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙার এই তো সময় হিলারির

চার বছর পর ফের অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক মাস থেকে বিশ্ববাসীর মনে নানা জল্পনা-কল্পনা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে।

ঢাকা: চার বছর পর ফের অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক মাস থেকে বিশ্ববাসীর মনে নানা জল্পনা-কল্পনা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে।

১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ বেনিয়াদের শাসন থেকে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৪০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো বড় দলের নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন হিলারি ক্লিনটন। যেটি ইতোমধ্যে ইতিহাস হয়েই আছে।

আর তিনি যদি এ নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন, তবে সেটা হবে আরেক ঐতিহাসিক ঘটনা। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি অনন্য এক স্থান দখল করবেন। আর সেই ঘটনা জন্ম দেওয়ার এই তো সময় সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের।

১৪৯২ সালে ইতালীয় নাগিরক কলম্বাস আমেরিকা আবিস্কার করে অমর হয়ে আছেন, দেশটির স্বাধীনতা কারিগর ও প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্বাবাসীর মনে স্থান করে নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ও কার্য‍ালয় হোয়াইট হাউজে জর্জ ওয়াশিংটন বসবাস না করার কারণে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হোয়াইট হাউজের প্রথম বাসিন্দা হিসেবে স্মরণীয়। তেমনই হিলারি এই নির্বাচলে জিতলে শাসন-প্রশাসন ও পররাষ্ট্র নীতি যাই হোক না কেন, সফলতা-ব্যর্থতার আগে অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ডটা হবে।

অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কোনোভাবে প্রেসিডেন্ট হয়েই যান, সেটা আমেরিকানদের জয় হলেও বিশ্বের সচেতন এবং বিচক্ষণ মানুষের জন্য হবে তা বড় পরাজয়। কেননা তার দৃষ্টিভঙ্গি, উগ্রতা, নারীর প্রতি অসম্মান, অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ করে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া হিলারির ৩৫ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কাছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ট্রাম্পের ব্যবসায়িক ছলা-কলা কতটা ফলপ্রসূ হবে সে নিয়ে প্রশ্নও থেকেই যায়।

৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের নেতৃত্বে এবার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ অপেক্ষার অবসান ঘটলেই আগামী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাণ্ডারি কে হচ্ছেন তা জানা যাবে?

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্টশাসিত গণতান্ত্রিক দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময় ও আনুষ্ঠানিকতা সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেক নিয়ম-নীতি আর আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রায় একবছর ধরেই চলছে নির্বাচনী কার্যক্রম। দেশটির নির্বাচনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটতে যাচ্ছে মঙ্গলবারের এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।

দেশটিতে ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য হলো আলাস্কা। বাংলাদেশে যেমন মেম্বার অব পার্লামেন্ট বা এমপি কিংবা সংসদ সদস্য। সেদেশে তেমন ইলেকটোরাল কলেজ। এদেশে যেমন জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা-৩০০টি, সে দেশের ৫৩৮টি।

প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পেতে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পেতে হয়। ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। শেষ পর্যন্ত কার মাথায় জয়ের মুকুট ওঠে, সেটাই দেখতে উদগ্রীব বিশ্বের প্রায় সাতশ’ কোটি মানুষ।

আরও পড়ুন..
** যে ৬ উপায়ে বিজয়ী হতে পারেন ট্রাম্প
** ডিক্সভিল নচে ট্রাম্পের দ্বিগুণ ব্যবধানে হিলারির জয়

** রোড টু ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ

** যেখানে ভোট দেবেন হিলারি-ট্রাম্প

** রয়টার্স বলছে- হিলারি জেতার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ

**কয়েক ঘণ্টা পরেই ভোটগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রে

** জেনে নিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।