ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্বীকৃতি দেবে না ইইউ, দৌড়ঝাঁপে নেতানিয়াহু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
স্বীকৃতি দেবে না ইইউ, দৌড়ঝাঁপে নেতানিয়াহু বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফেডেরিকা মোঘরিনি (ছবি: সংগৃহীত)

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোও জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফরে এসে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এ শহরে প্রথম এলেন।

নেতানিয়াহু দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চায় ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমি জেরুজালেম ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সমানভাবে রাজধানী থাকুক এবং এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বজায় থাকুক। ফলে কোনো একক দেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে তারা।

তবে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মতামত উপেক্ষা করে গত বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি মার্কিন দূতাবাস বাণিজ্যিক নগরী তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিতেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে স্থানান্তরের দিনক্ষণ বলেননি।

ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে ইসরায়েল স্বভাবতই স্বাগত জানালেও ফুঁসে ওঠে ফিলিস্তিন, জর্দান, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্ব। হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।  

এই সিদ্ধান্তকে আবারও স্বাগত জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ঐতিহ্যের সঙ্গে থেকেছেন। তিন হাজার বছরের ঐতিহ্য এটি।

তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, বিশ্বাস করি সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের প্রায় সব দেশ বা বেশিরভাগ দেশ।

ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান ফেডেরিকা মোঘরিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আপনারা জানেন আমাদের অবস্থান এখানে কী। ধর্মীয়ভাবে এটি একাধিক ধর্মের অতি পবিত্র স্থান। সুতরাং রাজধানী দুই দেশের থাকা উচিত।

ফিলিস্তিনের হামাস বলেছে, এ স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য বড় সমস্যার।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত, এই প্রক্রিয়া অনেক আগেই সম্পন্ন করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; কিন্তু তারা ঘোষণা দেননি। তারা হয়ত সাহস না পেয়েই মত বদলেছেন।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন ফিলিস্তিনকে তিনটি পৃথক সত্তায় বিভক্তির পরিকল্পনা করে। তা হলো ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল, আরব রাষ্ট্র ফিলিস্তিন ও জেরুজালেম। বলা হয়েছিল, জেরুজালেম হবে আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত নগরী। ব্রিটিশ শাসনাবসানের পর ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে জেরুজালেমের পশ্চিম অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। শহরটির পূর্ব অংশ থাকে ফিলিস্তিন ও জর্দানের নিয়ন্ত্রণে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে গোটা জেরুজালেম চলে যায় ইসরাইলের দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।