ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এবার ট্রাম্পের 'মাথা পরীক্ষা' করার দাবি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এবার ট্রাম্পের 'মাথা পরীক্ষা' করার দাবি! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি-সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিনকয় আগে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’’ গ্রন্থের লেখক সাংবাদিক মাইকেল উলফ। এবার যুক্তরাষ্ট্রের  বেশ কিছু চিকিৎসক ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তার 'মাথা পরীক্ষা করার দাবি' জানিয়েছেন।

‘ডক্টরস ওয়ান্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পস হেড এক্সামিনড’ শিরোনামে করা এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, কয়েক ডজন চিকিৎসক হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ড. রন্নি জ্যাকসনের (Dr. Ronny Jackson) কাছে ট্রাম্পের ‘মাথার পরীক্ষা’ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ড. রনি জ্যাকসন শুক্রবার ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা চমৎকার।

রনি জ্যাকসন জাতিকে ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল জানালেও তার মানসিক অবস্থাটি কেমন তা কিন্তু জানাননি।

শীর্ষস্থানীয় এসব চিকিৎসক ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার দাবির পক্ষে বেশ কিছু জোরালো যুক্তিও তুলে ধরেছেন।

চিঠিতে তারা বলেন, প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য কোন অবস্থায় আছে তা পরীক্ষা করা অবশ্যকর্তব্য। কেননা এর ওপরই নির্ভর করছে আমেরিকানদের জীবন এবং আমেরিকান জাতির নিরাপত্তা। তাই প্রেসিডেন্টের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন তা জানাটাও আমেরিকানদের জন্য সমান জরুরি।
এসব চিকিৎসাবিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেন, তাদের আশংকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাছাড়া তিনি হয়তো স্মৃতিভ্রংশজনিত (ডিমেনশিয়া)সমস্যায় ভুগছেন।

এ প্রসঙ্গে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কিছু আচরণগত ত্রুটি তুলে ধরেন। এসবের মধ্যে আছে, ট্রাম্পের অসংলগ্ন কথাবার্তা, কথার অস্পষ্টতা, পুরনো বন্ধুদের চট করে চিনতে না পারা, বারবার একই বিষয়ের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া, কোনোকিছু শুনতে-পড়তে-বুঝতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া, সন্দেহবাতিকগ্রস্ততা, সঠিক পরিকল্পনা নেবার অক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের অপারগতা, ক্রোধ এবং ভাবাবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, বিচিত্র ও হাস্যকর অঙ্গভঙ্গি, কোনো কিছু প্রকাশের জন্য যথাসময়ে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে না পাওয়া এবং সর্বোপরি সবকিছুতে মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে কথা বলার প্রবণতা।
মাইকেল উলফের বইতেও এসবের কয়েকটির উল্লেখ আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের খুব কাছের লোকদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে উলফ তার বইতে লিখেছেন, ১০ মিনিটের আলাপচারিতায় ট্রাম্প এক গল্প তিনবার বলেছেন এমন ঘটনাও আছে। সচরাচর প্রতি ৩০ মিনিটে একবার করে কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তি করার অভ্যাস ট্রাম্পের।

সিএনএন-এর ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উলফ দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চারপাশের লোকজনের শতকরা ১০০ ভাগই বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা ট্রাম্পের একদমই নেই। তাদের মতে, ট্রাম্প অস্থিরচিত্ত, গণ্ডমূর্খ। তার সব কাজে ও কথায় প্রজ্ঞা, কাণ্ডজ্ঞান ও বিচক্ষণতার অভাব প্রকট।

হোয়াইট হাউসের চিকিসক ড. রন্নি জ্যাকসনের কাছে যেসব চিকিৎসক এই জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন ডেমোক্রেট দলকে চাঁদা দানকারী। আর এদের মধ্যে রিপাবলিকান দলকে চাঁদা দানকারী আছেন কমপক্ষে দুজন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।