ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যৌন কেলেঙ্কারিতে অক্সফাম উপ-প্রধানের পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
যৌন কেলেঙ্কারিতে অক্সফাম উপ-প্রধানের পদত্যাগ ২০০৬ সাল থেকে অক্সফামে কাজ করছিলেন পেনি লরেন্স

ব্রিটেনের দাতব্য সংস্থা অক্সফামের কর্মকর্তাদের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির উপ-প্রধান নির্বাহী পেনি লরেন্স।

২০১১ সালে হাইতিতে ত্রাণ তৎপরতার সময় অক্সফামের ভাড়া করা ভবনে যৌনকর্মী নেওয়া হয়েছে বলে একটি তদন্তে উঠে এসেছে। কিন্তু এই কেলেঙ্কারি অক্সফামের নেতৃত্ব ধামাচাপা দিতে চেয়েছে বলে অভিযোগ ছড়িয়েছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে লরেন্স বলেন, আমি অত্যন্ত লজ্জিত এবং এর পুরোপুরি দায়ভার নিয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি।

এই কেলেঙ্কারি ও লরেন্সের পদত্যাগের মধ্যে সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, অক্সফামের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সহায়তা ছেঁটে ফেলার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় তা ঠেকাতে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

২০০৬ সালে অক্সফামের ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামস ডিরেক্টর পদে যোগ দেওয়ার পর লরেন্স প্রায় ৬০টি দেশে কাজ করেন। তিনি সবশেষ হাইতি এবং তার আগে আফ্রিকার শাদে কাজ করছিলেন।

দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এই দাতব্য সংস্থা থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে লরেন্স বলেন, আফ্রিকার শাদের পর হাইতিতেও কর্মীদের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রথম অক্সফামের হাইতি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর রোনাল্ড ভ্যান হাউয়েরমেইরেনসহ কর্মকর্তাদের জড়িয়ে যৌন কেলেঙ্কারির খবরটি প্রচার হয়।  

এতে বলা হয়, ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্প পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রমের সময় ২০১১ সালে রোনাল্ড ভ্যান অক্সফামের ভাড়ায় একটি ভবনে যৌনকর্মী নিয়ে যান। অক্সফামের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বিষয়টি উঠে আসে। তার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।  

আবার শাদেও এ ধরনের কাজ করা একজন কর্মকর্তাকে পরে হাইতিতে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।