ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুসলিমদের এক হাতে কোরান অন্য হাতে থাকবে কম্পিউটার: মোদী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৮
মুসলিমদের এক হাতে কোরান অন্য হাতে থাকবে কম্পিউটার: মোদী বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি-সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, মুসলমানদের এক হাতে থাকতে হবে কোরান, অন্য হাতে কম্পিউটার। ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চার পাশাপাশি তাদেরকে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় আরো বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।

নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) ‘‘ইসলামিক হেরিটেজ: প্রমোটিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং  অ্যান্ড মডারেশন’’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই অভিমত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তৃতায় মুসলিম তরুণদের ইসলামের উদারতার পথ অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন,সব ধর্মই মানবিক মূল্যবোধকে তুলে ধরে এবং ছড়িয়ে দেয়। কোনো ধর্মই হিংসাকে, সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না।

ভারতের সুপ্রাচীন, সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ভারতের মূল শক্তিই হলো তার বহুত্ববাদী ঐতিহ্য এবং ভারতীয় সমাজের বহু-বৈচিত্র্য। কেননা বৈচিত্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে ভারতীয়দের ঐক্যের বীজমন্ত্র। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিও এই বহুত্ববাদী ঐতিহ্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। তাই উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই বিশেষ কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই নয়।

‘‘ভারতবর্ষকে বিশ্বের প্রায় সব প্রধান ধর্মের সূতিকাগার বলা চলে’’ দাবি করে মোদী বলেন, ভারতের গণতন্ত্র হচ্ছে বহুত্ববাদের সুপ্রাচীন স্মারক।

বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত ও ভারতের বাইরের মুসলমান তরুণদের জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় মনোনিবেশ করার তাগিদ দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুসলমান তরুণদের ইসলাম ধর্মের উদার মানবিক বোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা করতে হবে। মুসলমানদের এক হাতে থাকতে হবে কোরান, আর অন্য হাতে কম্পিউটার।

অনুষ্ঠানে জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহও বক্তব্য রাখেন। তিনি ধর্ম সম্পর্কে নিজের সুগভীর অভিমত তুলে ধরে বলেন, ধর্মের নামে কারো ওপর কোনো আঘাত করা মানে ধর্মকেই আঘাত করা। যারা ধর্মের নাম নিয়ে হিংসা ছড়ায়, তাদেরকে  চিহ্নিত এবং প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস আমাদেরকে হিংসা শেখায় না, বরং হিংসার বিরুদ্ধে বিকাশের ও সমৃদ্ধির পথে চালিত করে।

রাজা আবদুল্লাহ মুসলিম ও অমুসলিম সবাইকে আরও ঘনিষ্ঠ এবং আরও নিবিড় হওয়ার তাগিদ দেন। তার ভাষায়, পরস্পরের মেলবন্ধনেই সবার মুক্তি ও সম্ভাবনা নিহিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা,  মার্চ ০১, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।