ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শান্তির পরিবেশে পরমাণু পরীক্ষা চালাবে না উ. কোরিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
শান্তির পরিবেশে পরমাণু পরীক্ষা চালাবে না উ. কোরিয়া দূর পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পাশে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। ছবি-সংগৃহীত

উত্তেজনাহীন-হুমকিহীন পরিবেশ বজায় থাকলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনার পরিবেশ তৈরি হলে পরমাণু অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জায়ে-ইন-র বিশেষ দূতদের সঙ্গে উত্তর কোরীয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের অভূতপূর্ব সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে বৈঠককালে এমনই আশ্বাস দেয় পিয়ং ইয়ং।

উত্তর কোরিয়ায় সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ সফর শেষ করে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি দলের একজন ঊর্ধ্বতন সদস্য সিউলে ফিরে গিয়ে মঙ্গলবার এই সুখবরটি দেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো তার বক্তব্যের বরাত দিয়েই এখবর জানায়।

যদিও পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যগুলো ‘উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ত্যাগে রাজি’ এমন বিভ্রান্তিকর শিরোনামও করেছে।  কিন্তু তাদের পরিবেশিত সংবাদের কনটেন্টে এমন কথা কোথাও নেই।

আসলে উত্তর কোরিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যদি আলোচনা শুরু হয় এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে দেশটি পরমাণু ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা স্থগিত রাখবে।

দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে দেশ দুটি এপ্রিলের শেষ দিকে নিজেদের মধ্যে একটি যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করবে। এটি হবে কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের এ ধরনের প্রথম যৌথ সম্মেলন। ঠিক একথাই জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের পাঠানো প্রতিনিধি দলের নেতা চুং ইয়ুই-ইয়ং।

সোমবার দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জায়ে-ইন-র বিশেষ দূত হিসেবে একটি উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং সফরে যান।

প্রসঙ্গত,  সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকের সূত্র ধরেই উত্তর ও দ. কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে বিরাজমান বিদ্বেষের বিষাক্ত গুমোট হাওয়া প্রথমবারের মতো কাটতে শুরু করে। দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধি দলের এই সফরের ফলে সৌহার্দ্যের আরও একটি মাইলফলক যুক্ত হলো।

প্রতিনিধি দলটিকে ব্যাপক উষ্ণতার সঙ্গে বরণ করে নেয়া হয়। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করেন।

২০১১ সালে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর কোনো উচ্চ পর্যায়ের দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এটাই তার প্রথম সাক্ষাৎ।

দু'দেশের উত্তেজনা প্রশমন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার চরম উত্তেজনার প্রশমন, পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন-পিয়ং ইয়ং সম্ভাব্য বৈঠক আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করা এবং দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিউল-পিয়ং ইয়ং।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।