ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এটিসি-পাইলট কথোপকথন ফাঁসের তদন্ত করবে সিআইবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এটিসি-পাইলট কথোপকথন ফাঁসের তদন্ত করবে সিআইবি সোমবার কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয় ফ্লাইট বিএস২১১। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) কক্ষ এবং পাইলটের মধ্যে হওয়া কথোপকথন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করতে মাঠে নামছে দেশটির সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিআইবি)।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএএন) বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানা গেছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইট চলাকালে পাইলট ও এটিসির মধ্যে যে কথোপকথন হয় সেটা বাইরে প্রচার করা আইন সম্মত নয়।

কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর কোনো অনুমতি ছাড়াই ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিসি ও পাইলটের মধ্যে হওয়া কথোপকথন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।  

‘এটি কিভাবে ফাঁস হয়েছে এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত-তা সিআইবি তদন্ত করে দেখবে। এরই মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিভাবে এই কথোপকথন বাইরে গেল এবং প্রচার হল তা খতিয়ে দেখবে তারা। ’

এদিকে সোমবার (১২ মার্চ) দুর্ঘটনার পরপরই ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এটিসি ও পাইলটের মধ্যে হওয়া কথোপকথনের অডিও ক্লিপটি। যা ভাইরাল হয়ে যায়। সংবাদ প্রকাশিত হয় নানা গণমাধ্যমেও।  

এর জের ধরেই প্লেন বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে এটিসির গাফিলতির বিষয়ে অভিযোগ করেন ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইমরান আসিফ। তখনই আলোচনায় আসে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার দিকটি।  

এদিকে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রাথমিকভাবে প্লেনের ত্রুটির কথা বলা হয়। যদিও নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষ্ণ প্রসাদ দেবকোটা বলেন, কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।  

‘এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, প্রতিবেদন পেলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে,’ বলেন তিনি।  

এ বিষয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, প্লেনের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। ওইদিন নেপাল যাওয়ার আগে এয়ারক্র্যাফটটি আরও দু’টি ফ্লাইট চালায়। সকাল ৮টায় ও ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালানো হয় এটি দিয়ে। নেপালেরটা ছিল ওইদিনে এয়ারক্র্যাফটটির তিন নম্বর ফ্লাইট।  

‘এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইটের আগেই প্লেনের সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে প্লেনে কোনো সমস্যা ছিল না। তা নাহলে তো আগের দু’টো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারতো না। ’

এর আগে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণেল সময় ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ফ্লাইটটির পাইলট, ক্রুসহ ২৮  জন বাংলাদেশি রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।