ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৮
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী (ছবি: সংগৃহীত)

ঢাকা: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ছয় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের দ্বিতীয় পর্বে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৩শ’ জন।

শুক্রবার (০৬ এপ্রিল ) গাজা  সীমান্তে আন্দোলনে নামে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

শুক্রবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

এতে জানানো হয়, দ্বিতীয় পর্বের বিক্ষোভের সময় গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সাত নারী ও ৩১ শিশুসহ আহত হয়েছেন ১৩শ’ ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি বাহিনীর তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তার করতেই ‘হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী’ গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ করছে। তা প্রতিহত করতেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ শীর্ষক এই বিক্ষোভে চালিয়ে যেতে ফিলিস্তিনিরা সীমান্তে অন্তত পাঁচটি তাঁবু গেড়েছে। বলা হচ্ছে, এই বিক্ষোভ চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলের দখলকৃত তাদের আবাসসহ ভূমি ফিরে পাওয়ার জোর দাবি তুলেছেন।

১৯৭৬ সাল থেকে বছরের ৩০ মার্চ ‘ভূমি দিবস’ পালন করছে ফিলিস্তিনিরা। ওই সময় ইসরায়েলি বাহিনীর দখলদারিত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় ছয় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির সময় তাদের নেতৃত্ব ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা ও পশ্চিম তীরে পাঠিয়ে দেয়। ইসরায়েলের নেতৃত্বের বক্তব্য, বাস্তুচ্যুত শরণার্থীরা ভবিষ্যৎ গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে বসবাস করবে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এই অবিচার প্রত্যাখ্যান করে তাদের স্বগৃহে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।