শুক্রবার (০৩ আগস্ট) রাজধানী বেইজিং এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চীনা এয়ারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশনের সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান চীনা একাডেমি অব এয়ারোস্পেস এয়ারোডায়নামিক্স (সিএএএ) স্টাররি স্কাই-২ নামে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালায়।
সংশ্লিষ্টরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, স্টাররি স্কাই-২ কেবল উচ্চ গতির নয়।
সোমবার (০৬ আগস্ট) প্রকাশিত সিএএএ’র একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্টাররি স্কাই-২ শীর্ষ গতিতে পৌঁছেছে। সেটি ছয়বার পরীক্ষা করেও নেওয়া হয়েছে। এর গতি প্রতি ঘণ্টায় চার হাজার ৫৬৩ মাইল বা সাত হাজার ৩৪৪ কিলোমিটার।
এছাড়া মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছে সিএএএ। পরে তারা এর সফলতার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেছে প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘উইচ্যাটে’ও ছড়িয়ে পড়ে।
স্টাররি স্কাই-২ এর ফ্লাইটটি পরীক্ষার প্রজেক্ট কারিগরিভাবে অনেক কঠিন ছিল। সেইসঙ্গে সূক্ষ্ণতার সঙ্গে করাও অনেক জটিল ছিল। এছাড়া এর সফলতায় বেশ কয়েকটি আধুনিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে সিএএএ’কে।
চীনের ইতিহাসে প্রথম নতুন এ এয়ারক্রাফটটি বা প্রযুক্তিটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কে সিএএএ এখনও কিছু জানায়নি।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে সর্বপ্রথম রাশিয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝালের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন হাইপারসনিক ক্ষেপাণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় রাশিয়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে। কেননা রাশিয়া ১০টি অত্যাধুনিক মরণাস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে কিনঝালটি ‘তোপোলেভ টিইউ-২২২এম৩ বোম্বার বহন করে অত্যাধিক দূরগতির সঙ্গে। যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া এটির গতি শব্দের চেয়ে আট গুণ বেশি। সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি মুহূর্তেই গতি পাল্টিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সক্ষম।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় হিসেবে এখন হাইপারসনিক যুগে প্রবেশ করল চীন। যাতে তাদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
টিএ