ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রথম ফ্লাইট নামলো সিকিমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৮
প্রথম ফ্লাইট নামলো সিকিমে প্রথম অবতরণ করা ফ্লাইটটিকে ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুট’ করা হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: অবশেষে চালু হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য সিকিমের প্রথম বিমানবন্দর পাকইয়ং।

বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) কলকাতা থেকে উড্ডয়ন করে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট গিয়ে এ বিমানবন্দরটিতে প্রথম অবতরণ করে। এসময় প্লেনটিকে দু’টি জলযান দু’দিক থেকে পানি ছিটিয়ে ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুট’ করে স্বাগত জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ফ্লাইটটি ছিল ভারত সরকারের উডান প্রকল্পের অধীনে স্পাইসজেট এয়ারলাইন্সের।

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ওই বিমানবন্দরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় প্রায় নয় বছর আগে।

উডান প্রকল্পের অধীনে স্পাইসজেট প্রতিদিন কলকাতা-পাকইয়ং-কলকাতা ফ্লাইট পরিচালনা করবে। কেননা, দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উডান প্রকল্পটিই এ আঞ্চলিক বিমানবন্দর স্থাপন এবং যোগাযোগের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল।

এ বিষয়ে স্পাইসজেট চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় সিং বলেছেন, আজকের দিনটি আমাদের গর্বের। আমরা ভারতের বিমান মানচিত্রে সিকিমকে পেয়েছি পাকইয়ং দিয়ে। যা স্পাইসজেটের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমারাই প্রথম বিমানবন্দরটিতে অবতরণ করলাম।

বিমানবন্দরটি ২০১ একরের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। পাকইয়ং গ্রামের দুই কিলোমিটার উঁচু পাহাড়ের উপরে বিমানবন্দরটি স্থাপন করা হয়েছে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চার হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায়।

ভারতের সব রাজ্যে থাকলেও সিকিমই একমাত্র, যার বিমানবন্দর ছিল না। সীমান্ত এবং পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অনেক আগে থেকেই রাজ্যটিতে বিমানবন্দরের প্রয়োজনীতাও ছিল ব্যাপক। কিন্তু সে সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিতই করা হয়েছিল এতোদিন।

২০০৯ সালে ভুটান, তিব্বত এবং নেপালের সীমানা এলাকায় এ বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

বিমানবন্দরটি চালু হওয়াতে হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত আবদ্ধ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। সেইসঙ্গে এ সুবিধা বাড়ায় রাজ্যের পর্যটন খাতেও উন্নতি হবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন, পাকইয়ং বিমানবন্দর চালু হলে আমাদের যোগাযোগের আরও উন্নয়ন হবে এবং সিকিমের লোকজন অনেক সুবিধা পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।