শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন সন্ধ্যায় রাবণ বধ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান অনেক মানুষ। এসময় ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের ওপর দিয়ে চলে যায় ট্রেন।
ট্রেনটি জালান্দর থেকে অমৃতসরে আসছিল। অমৃতসরের জোড়া ফটকের কাছেই রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়া হচ্ছিল। এসময় আতশবাজির শব্দে ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাননি। এসময় ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে শিশুসহ অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর এক টুইটার বার্তায় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ভারতীয় রেলওয়ে ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নিহতের পরিবার ও আহতদের সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ দিতে বলেছেন। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
অপর এক টুইটার বার্তায় তাৎক্ষণিক শোকপ্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এছাড়া হতাহতদের সহায়তা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
এছাড়া কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ অনেকে শোকপ্রকাশ করেছেন। তারা নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ দুর্ঘটনায় শিশুও নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে প্রায় ৭০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, আমি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। দুর্ঘটনা তদন্তে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
** ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৫০
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
ওএইচ/