ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

খুনের পর খাশোগির পোশাকেই দূতাবাস ছাড়ে ঘাতক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
খুনের পর খাশোগির পোশাকেই দূতাবাস ছাড়ে ঘাতক! ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের দূতাবাসের বাইরে সিসিটিভি’র ফুটেজে খাশোগি ও তার বেশে খুনী- ছবি: সংগৃহীত

তুর্কির রাজধানী ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করে খুনী খাশোগিরই পোশাক পরে ও হুবহু তার বেশ ধরে বেরিয়ে গিয়েছিল। খাশোগিকে হত্যা করতে যে ‘১৫ সদস্য’ তুরস্কে গিয়েছিল, তাদের একজন ‘মিশন’ শেষে এ কাজ করেছেন। তাকে সুস্থ অবস্থায় দূতাবাস ত্যাগ করেছেন এমনটা প্রমাণ করতেই ওই ব্যক্তিকে খাশোগির পোশাক ও একই রকম নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে ‘নকল খাশোগি’ বানিয়েছিলেন সৌদি কর্মকর্তারা। 

সোমবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তুর্কি তদন্তকারীরা জানায়, খাশোগিকে হত্যা করতে আসা ১৫ সদস্য দলের একজন মুস্তফা আল-মাদানি।

তিনি ২ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে পৌঁছান। খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাস ভবনে প্রবেশ করেন দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে। তখন তার বাগদত্তা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। দেশটির  সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজে দেখা গেছে, ৩ টার একটু আগে মুস্তফা আল-মাদানি খাশোগির পোশাক ও নকল দাড়ি-গোঁফে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়।  

৫৭ বছর বয়সী আল-মাদানির আর খাশোগির একই উচ্চতা, আর বয়সও প্রায় কাছাকাছি। এটাকেই কাজে লাগিয়েছে ঘাতকরা।

ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির পোশাক পরে হেঁটে যাচ্ছেন। তার নকল গোঁফ ও খাশোগির চশমার মতো চশমা পরা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজ সহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক। গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে  গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান তিনি। তখন তুরস্কের তরফ থেকে বলা হয়, খাশোগিকে দূতাবাসে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে সৌদি আরব এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করে, খাশোগি দূতাবাস থেকে বেরিয়েই গেছেন। পরে অবশ্য স্বীকারোক্তি দিয়ে দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন খাশোগি। সবশেষ সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের স্বীকার করেন, খাশোগি আসলে খুনই হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এপি/এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।